পেকুয়ায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে বক্তারা বলেছেন বিএনপি-জামাত এদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করে। ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত পাকিস্তানিদের দুসর ছিল। তারা হানাদেরদের এজেন্ট হিসেবে বাঙ্গালীদের হত্যা করেছিলেন। ৭৫এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে স্বৈরা শাসনের বীজ বপন করে। বিএনপি ৭৫এর পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে খুনিদের পুর্নবাসন করে। বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর মডেল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অভাবনীয় অগ্রগতি আজকে দুনিয়াকে অবাক করে দিয়েছে। অথচ পাকিস্তান তালেবানী ও জঙ্গিরাষ্টে পরিনত হয়েছে। মানুষ হত্যা করে বল প্রয়োগ করে কোন জাতি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। ইসলাম বল প্রয়োগ ও মানুষ হত্যাকে সমর্থন করেনা। জঙ্গিরা গুলশান ও শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে হামলা করেছ। কিন্তু আর্ন্তজাতিক জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা পবিত্র নগরী মদিনায় মসজিদে নবিবীতে হামলা করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ক্ষমতায় গেলে ১০টায় চাল বিক্রি করবেন। তিনি জনগনের প্রতি দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছেন। সামাজিক ঝুঁকি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারা বাংলাদেশে স্বল্প মুল্যে চাল বিলি হচ্ছে। কক্সবাজারের উন্নয়নে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। দোহাজারি থেকে রেল লাইন বাস্তবায়ন কাজ কক্সবাজার পর্যন্ত হচ্ছে। মাতারবাড়ি ধলঘাটা ও পেকুয়াতে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে বিদ্যুত প্রকল্প। গতকাল শুক্রবার উপজেলা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্টিত সমাবেশে বক্তারা এসব বলেছেন। বিকেল ৩টায় পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটি পেকুয়ার সভাপতি এস এম গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আ’লীগ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, সারাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ উৎখাত হয়েছে। এখন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যেসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হচ্ছে, তা প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলের ভেতরে অনেক সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আছে। তাঁদের কারনে দেশ ও দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব সন্ত্রাসীদেরও কোন রকম প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলম এমএ, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আ’লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এড.কামাল হোসেন, উপজেলা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা ফরিদুল আলম, নারী নেত্রী উম্মে কুলসুম মিনু, উজানটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি তোফাজ্জল করিম, টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম, উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, চকরিয়া উপজেলা আ’লীগ যুগ্ন সম্পাদক আজিমুল হক চেয়ারম্যান, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আযম খান, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি খাইরুল এনাম, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বারেক, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন, শ্রমিকলীগ সভাপতি নুরুল আবছার, মৎস্যজীবি লীগ সভাপতি জাকিরুল ইসলাম, ওলামালীগ নেতা ইউনুস কাদেরী, আ’লীগ নেতা মাষ্টার নুর মুহাম্মদ, আবু ছিদ্দিক, যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দিন, আছাদুল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান ফরায়েজী, ছাত্রলীগ নেতা মো.শওকত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা এড.মমতাজুল ইসলাম,জেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি জিএম কাসেম, রাজাখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, রাজাখালী ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি, সম্পাদক আবুল কাসেম আযাদ, টইটংয়ের সভাপতি ছরওয়ার কামাল, মগনামার সম্পাদক রশিদ আহমদ, শীলখালীর সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, বারবাকিয়ার সভাপতি আবুল হোসেন শামা, সম্পাদক কামাল হোসেন, আ’লীগ নেতা মুফিজুর রহমান, কবির মেম্বার, আব্দুল জলিল, শাহ আলম, ছৈয়দুল হক, মুহাম্মদ হাসেম, যুবলীগ নেতা জিয়াবুল হক জিকু, নাজিম উদ্দিন, করিম, বাদশাহ, মহিউদ্দিন, তারেক, সুজন, মহিউদ্দিন, শাহজাহান, মো.আলী, আহমদ হোসেন, আলতাফ, ফরহাদ, সেকান্দার, কৃষকলীগ নেতা আব্দুল মান্নান, আফতাব উদ্দিন, হাজ্বি আব্দু রশিদ, নাছির উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন, বদিউল আলম, আবু তালেব, ছাত্রলীগ নেতা আমিন, ফারুক, আরাফাত, বেলাল, পারভেজ, মনছুর আলম নানক, জাকরিয়া, সৈনিকলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম হিরু, মো.ফারুক, প্রজন্ম লীগ সভাপতি মোকতার, সম্পাদক ইসমাইল, প্রজন্মলীগ নেতা কাইয়ুম রেজা, এহছান, আলী হোসেন, মহিলা আ’লীগ নেত্রী ছেনুয়ারা, হাছিনা, মর্জিনা, ফাতেমা, শিমু প্রমুখ। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে গাড়ি শোভাযাত্রা করে ও মিছিল নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। বিকেল চারটা বাজতে বাজতে পুরো মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সমাবেশের পরে জেলা আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান এবং পেকুয়া উপজেলা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির নেতাদের গণ সংর্বধনা দেওয়া হয়।
##############
পেকুয়া সদর ইউনিয়নে ১০টাকা মুল্যে চাল বিতরন
পেকুয়া প্রতিনিধি ::::
পেকুয়ায় সদর ইউনিয়নের ২ও ৪নং ওয়ার্ড়ে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০টাকা মুল্যের চাল বিতরন কর্মসুচি সুচনা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় পেকুয়া বাজার কামাল চেয়ারম্যান মার্কেটে ওই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। সদর ইউপির ২নং ওয়ার্ড়ের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ওই কর্মসুচির উদ্বোধন সময়ে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক রাসেল সিকদার, ব্যবসায়ী ওসমান গনি, জসিম উদ্দিন প্রমুখ। জানা গেছে কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের ওই মোকাম থেকে সদর ইউনিয়নের ২ ও ৪নং ওয়ার্ড়ের ৫৮৩পরিবারকে ওই কর্মসুচির আওতায় চাল বিলি করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এ প্রতিপাদ্য বিষয়ে সারা দেশে এ কর্মসুচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ওইদিন পেকুয়ায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ক্রাইপুং মুরুং এর নির্দেশনায় এ কর্মসুচি শুরু করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: